• রাত ৯:৫২ মিনিট বৃহস্পতিবার
  • ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করেতে জামপুরে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ৫ প্রার্থী সোনারগাঁয়ে ভবন ঘেঁষে মাটি খনন, ভেঙ্গে পড়লো পাশের স্থাপনা কালাম একমাত্র যোগ্য প্রার্থী, উপজেলা নির্বাচনে তাকে ভোট দিন: ডা. বিরু সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁয়ের বাজার ও মার্কেটগুলোতে মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারনায় নেতাকর্মীর ঢল সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
বাজারগুলোতে প্রশাসন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করলেও মানুষ মানছেনা দুরত্ব

বাজারগুলোতে প্রশাসন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করলেও মানুষ মানছেনা দুরত্ব

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ করোনা মোকাবেলায় উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ বাজারগুলোকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দোকানদারদের বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে স্থাণীয় প্রশাসন। প্রশাসনের এ উদ্যোগে সচেতন নাগরিকরা সাদুবাদ জানালেও সামাজিক দুরত্ব মানছেনা অধিকাংশ অসচেতন মানুষ। এতে করোনা মোকাবেলায় প্রশাসনে নেয়া বিভিন্ন প্রদক্ষেপও ভেস্তে যাচ্ছে কিছু অসচেতন মানুষের কারনে।

নারায়ণগঞ্জ সির্ভিল সার্জেনের দেয়া তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জে মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা এ পর্যÍ ৪১১ জন এর মধ্যে মৃত্যু বরণ করছে ৩০ জন। সে হিসেবে সোনারগাঁয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭জন। তবে এখনও কেউ এ রোগে মারা যায়নি। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার দীর্ঘদিন পর গত ১৩ এপ্রিল তারিখে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় সোনারগাঁয়ে। এরপর আজ পর্যন্ত সোনারগাঁয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭জনে দাড়িয়েছে।

করোনা মোকাবেলায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত ব্যবসা বানিজ্য ও বিপনি বিতানগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার। এছাড়া জনসমাগম কমাতে সকল প্রকার অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। দেশের প্রথম করোনা রোগী নারায়ণগঞ্জে সনাক্ত হওয়ার পর গত ৭ এপ্রিল সারা নারায়ণগঞ্জে লক ডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রসাশন।

এদিকে, গত ২৬ মার্চ থেকে সকল প্রকার গণপরিবহন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করে স্থাণীয় প্রশাসন। প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়। তারপর সোনারগাঁবাসী মানছেনা সামাজিক দুরত্ব ও লক ডাউন। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ও কাঁচা বাজারগুলো থেকে কমানো যাচ্ছে না লোক সমাগম। প্রতিদিন মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ভীড় করছে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ও কাঁচা বাজারগুলোতে। যেখানে সামাজিক দুরত্ব মানছেনা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হলেও কেউ শুনেছেনা কারো কথা। অবশেষে প্রশাসন বাধ্য হয়ে বাজারগুলো ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁেধ দেয়। এতেও কাজ না হওয়ায় এখন বাজারগুলোকে সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত করে দেয়া হয়েছে। এরপর মানুষ মানছেনা সামাজিক দুরত্ব। বাধ্য হয়ে প্রশাসন বাজারগুলো বড় জায়গায় সরিয়ে নিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দোকানগুলোকে স্থানান্তর করে। এছাড়া চৌরাস্তায় একদিন পর পর এক একটি দোকান খুলবে এমনও শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর মানুষ মানছেনা সামাজিক দুরত্ব। প্রতিদিনই দলে দলে লোক বাজার করতে আসছেন বাজারগুলোতে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, নিত্য দিন বাজার সদাই কেনা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখতে পারলে অসচেতন মানুষের পাশাপাশি সচেতন মানুষগুলো করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে।

এ পর্যন্ত বন্দর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংক্রমনের সংখ্যা বন্দরে বেশী। এর কারণ হিসেবে তারা দেখেছেন বন্দর আর সদর উপজেলা প্রায় কাছাকাছি। মাঝখানে একটি নদী। এছাড়া বন্দর উপজেলার মানুষ ব্যবসা বানিজ্য থেকে শুরু করে নিত্য দিনের প্রয়োজন ও কাজে কর্মে প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জে আসা যাওয়া করছেন। সে জন্য অন্য উপজেলা থেকে বন্দর উপজেলায় করোনার সংক্রমনের সংখ্যা বেশী। সেজন্য বন্দর উপজেলাকে প্রথম লক ডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসক। কিন্তু লক ডাউন উপেক্ষা করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে রবিবার সাপ্তাহিক কাইকারটেক হাট বসায় ইজারাদাররা। সেই কাইকারটেক হাটের বেশীরভাগ দোকানদার ক্রেতা ও বিক্রেতা বন্দর উপজেলার। প্রশাসনের কোন কঠোরতা না থাকায় বন্দর থেকে লক ডাউন ভেঙ্গে শত শত লোক হাট বাজার করতে এসেছেন কাইকারটেক হাটে। বন্দর উপজেলার লোক অবাধে হাটবাজারে আসার কারণে সোনারগাঁয়ে করোনার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। সোনারগাঁয়ে করোনা সংক্রমন কমাতে কাইকারটেক হাটকে বন্ধ করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution